বর্তমানে বাংলাদেশে তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে (JU, KU, BUP)থেকে B.Sc in Environmental Science পড়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে Environmental Science সম্পৃক্ত সাবজেক্টে পড়া যায়। ( যেমনঃ DU-soil, water & environmental
science, MBSTU-environmental science & management, JUST- environmental
science & technology, CU- forestry & environmental science)
‘Environmental
Science’ শব্দটির অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘পরিবেশ বিজ্ঞান’।
হ্যা। এটি একটি সাইন্সের সাব্জেক্ট।
পরিবেশ বিজ্ঞান শব্দটি শুনলেই মনে হয় এই সাবজেক্ট টা তো ক্লাস ফাইভ-সিক্স-সেভেন-এইটে পড়া পরিবেশ পরিচিতি সমাজ অথবা সামজিক বিজ্ঞান । যদিও এই সাবজেক্ট গুলা পরিবেশ সম্পৃক্ত সাবজেক্ট, তারপরো অনেক অনেক আলাদা। একদিকে,সামাজিক বিজ্ঞান(Social Science) এবং সমাজ(Sociology) এগুলো আর্টসের সাবজেক্ট। আর অন্যদিকে এই পরিবেশ বিজ্ঞান সাবজেক্টটি হচ্ছে সাইন্সের সাবজেক্ট। কারন পরিবেশ বিজ্ঞান প্রথাগত বিজ্ঞান, বিজ্ঞানসম্মত অনুসন্ধান, আধুনিক বিজ্ঞান ইত্যাদিকে গুরুত্ব দেয়। কারন এখানে একজন শিক্ষার্থীকে সাইন্সের ফিজিক্স কেমিস্ট্রি বায়োলজি এই সবকিছুই পড়তে হয়। এমনকি এখানে অন্তরীকরন, যোগজীকরন এবং মেজর হিসেবে স্ট্যাটিস্টিক পড়তে হয়। প্রথম বর্ষে এই সাবজেক্টে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের এনভায়রনমেন্টাল ফিজিক্স, এনভায়রনমেন্টাল কেমিস্ট্রি, বায়োলজিকাল সাইন্স, ম্যাথম্যাটিক্স এন্ড স্ট্যাটিস্টিক ফর এনভায়রনমেন্ট এই কোর্স গুলো পড়তে হয়। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, পরিবেশ বিজ্ঞান সাবজেক্টটি সাইন্সের সাবজেক্ট।
বিশ্ব উষ্ণায়ন, অনিয়মিত জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র হ্রাস—প্রতিনিয়ত ইঙ্গিত দিচ্ছে বিপদগ্রস্ত পরিবেশের। এর মোকাবিলা করার জন্য পরিবেশ বান্ধব উদ্যোগ প্রয়োজন। যার জন্য চাই পরিবেশের পাঠ গ্রহণ। নতুন এই প্রেক্ষিত খুলে দিচ্ছে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত। ইউজিসি এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা প্রায় সমস্ত কলেজে পরিবেশ-বিজ্ঞান সাবজেক্টটি অন্তর্ভুক্ত করেছে। ইউজিসির এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েই বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিজ্ঞান বা পরিবেশ বিজ্ঞান সম্পৃক্ত ডিপার্টমেন্ট চালু করেছে। হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্ট পরিবেশ বিদ্যাকে একটি পৃথক বাধ্যতামূলক পাঠ্য বিষয় হিসাবে চিহ্নিত করেছে এবং এনসিইআরটি )ন্যশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশানাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং(এই পাঠক্রমের রূপরেখা দিয়েছে।
এই ডিপার্টমেন্টে যা যা পড়ানো হয় ????
প্রথমেই বলেছি, এই ডিপার্টমেন্টে Environmental Physics, Environmental
Chemistry, Biological Science, Mathematics and Statistics for Environmental
Science এই কোর্স গুলো পড়তে হয়। এছাড়াও যেসব কোর্স পড়ানো হয়-
• Ecology
• Geology
& Geography
• Earth
science
•
Meteorology & climate system
• Hydrology
• Limnology
•
Oceanography
•
Microbiology
• Green
environment & technology
•
Environmental engineering
• Disaster
management
• Physics
• Chemistry
• Computer
• Math
•
Environmental monitoring
• Energy
& sustainable environment
• Industrial
Ecology
• Economicss
• Statistics
• Sociology
•
Environmental law, protocol & ethics/ policy
• GSI &
remote sensing
পরিবেশ বিজ্ঞান পড়ে ফিউচার এ কি করবেন ????
•
Environmental consultant
• Natural
conversation officer
• Recycling
officer
•
Sustainable auditor
• Waste
management officer
• Water
quality scientist
•
Environmental health practitioner
• Green
technologist
• Town
planner
•
Toxicologist
• Transport
planner
• Forest
officer
• Weather
observation officer
•
Meteorologists,ইত্যাদি।
এগুলাতে ইচ্ছে থাকলে environmental science এর ডিগ্রী লাগবে।
বাংলাদেশেও পরিবেশ বিজ্ঞানের চাহিদা অনেক।যেমন
*পরিবেশ অধিদপ্তর
*বন অধিদপ্তর
*আবহাওয়া অধিদপ্তর
*দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা মন্ত্রণালয়
*ওয়াসা
*তিতাস
*বাপেক্স
*রাজউক
*নিউক্লিয়ার প্লান্ট
*এনজিও
*এছাড়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে ইটিপি প্লান্ট ছাড়াও বিভিন্ন কাজের সুযোগ আছে।
এছাড়া বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে এপ্লাইয়ের মাধ্যমে ন্যাশনাল ভার্সিটির আন্ডারে বিভিন্ন কলেজে পরিবেশ বিজ্ঞান এর প্রভাষক হিসেবে জয়েন করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পাবলিক ভার্সিটিতে পরিবেশ বিজ্ঞান বা পরিবেশ বিজ্ঞান রিলেটেড বিষয়ে প্রভাষক হিসেবে জয়েন করার সুযোগ রয়েছে।
স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে পড়াশোনা করতে যাবার ইচ্ছে??
তাদের পছন্দের প্রথম বিষয় পরিবেশ বিজ্ঞান হওয়া উচিত (ব্যাক্তিগত মতামত)।
কারন কিছু লিংক দিচ্ছি দেখলেই বুঝবেন কি পরিমান স্কলারশিপ দিচ্ছে পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্র ছাত্রীদের।
যাদের রিসার্চ রিলেটেড কিছু করার ইচ্ছে, তাদের জন্য পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয় হিসেবে তালিকার প্রথম দিকে থাকার যোগ্যতা রাখে।
বাংলাদেশের কোথায় কোথায় এম.এস করা যাবে?
*BUET
(environmental engineering)
*CUET (environmental
engineering & disaster management)
*DU (Soil
Water & Environmental science)
*JU
(Environmental science)
*IUT (Civil
& environmental engineering)
*SUST
(forestry & environmental science)
*KU
(environmental science)
*PUST (
Environmental science)
etc...
জীবনের চেয়ে মৃত্যুর আদর এবং কদর অনেক বেশি আমাদের মাঝে। জীবদ্দশায় যাঁদের খোঁজখবর নেবার প্রয়োজন বোধ করি না আমরা, মৃত্যুর পর কী অদ্ভুতভাবে আপন হয়ে ওঠে তাঁরা,হয়ে ওঠে ভীষণ কাছের।
বলি ভাগ্য সব!!
আসলেই?
ভাগ্য নিজেরা গড়তে পারি না?
মৃত্যুর আদর কেন?
জীবনের কদর করতে শিখি।
ভবিষ্যৎ পরিবেশবাদীদের বলছি বাচঁতে হলে জানতে হবে এই স্লোগান নয়,
গলা মিলান আমাদের সাথে
"বাচঁতে হলে পরিবেশ বাচাঁতে হবে। "
(আরও জানতে চাইলে
ডক্টর সাঈদ মোহাম্মাদ আবুল ফাইজ স্যারের
ভিডিও ইন্টার্ভিউ দেয়া আছে।)
Comments
Post a Comment