Subject Review: Computer Science & Engineering

বাংলাদেশে ডিমান্ডেবল  জনপ্রিয় সাবজেক্টগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নাম CSE. (Computer Science & Engineering)

CSE পড়তে হলে  টা স্কিল থাকতে হবে।
গণিতের প্রতি মোটামুটি দক্ষতা,
নতুন কিছু করার উদ্ভাবনী চিন্তা,
প্রোগ্রামিং করার প্যাশন এবং ধৈর্য্য।
CSE সাবজেক্টটি ইঞ্জিনিয়ারিং  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাড়াও যে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়  পড়ানো হলেও অন্যান্য সাবজেক্ট থেকে CSE সাবজেক্টটির অনেক বেশি পার্থক্য রয়েছে।

কোথায় পার্থক্য?

অন্যান্য সাবজেক্টগুলোর রিলেটেড ইন্ডাস্ট্রিতে জব পেতে হলে সবার আগে কোন জিনিসটির প্রয়োজনসিজিপিএ। এছাড়া অনেক সময় ভাল সিজিপিএ থাকলেও কিছু মামাচাচা ধরে বাঁচা ক্যান্ডিডেটদের ভীড়ে সিজিপিএ এর খবরও থাকে না।

কিন্তু এক্ষেত্রে CSE এর একটা সুবিধা হচ্ছেতোমার সিজিপিএ যদি   (আউট অফ হয়একগাদা ড্রপ কোর্স থাকে কিংবা সার্টিফিকেটও যদি না থাকে তবুও চিন্তা নেই। আছে তোমার ক্রিয়েটিভিটি। কিন্তু তোমার প্যাশন থাকতে হবে প্রোগ্রামিং এর। রাত দিন বসে যদি কোডিং করার ধৈর্য্য থাকে তবে তুমি সিজিপিএসার্টিফিকেট  ভূমিকম্প ছাড়াই তোমার ইন্ডাস্ট্রি কাপাতে পারবে।
তবে এক্ষেত্রে যদি তোমার সফটওয়্যার ডেভলপিংকোডিং এর প্রতি প্যাশন না থাকে তবে CSE এর বরাবর না আগানোই তোমার ফিউচারের জন্য ভাল হবে। তাছাড়া প্যাশন না থাকা সত্ত্বেও CSE পড়তে চাইলে চার বছর একাডেমিক লাইফটা খুবই বাজে যাবে এবং ফাইনাল ইয়ারে থিসিস করার জন্য টপিক খুজে পাবেনা।

#অফুরন্ত_কর্মক্ষেত্রঃ


বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়ন রেখা প্রযুক্তির দিকে ধাবমান। এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্তসম্প্রতি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। আমাদের দেশে এখনো চাহিদার তুলনায় দক্ষ কম্পিউটার সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট অনেক কম। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। সাথে সাথে শিল্পে আধুনিকায়ন হচ্ছে। পরমাণু শক্তি কমিশন, Satellite Transmission থেকে Traffic Controlling, E-governance, রেল যোগাযোগ সহ সকল ক্ষেত্রেই কম্পিউটার এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। ফলে সকল ক্ষেত্রেই CSE এর চাহিদা প্রচুর। এর ফলে তৈরি হচ্ছে অফুরন্ত কর্মক্ষেত্র।

 কর্মক্ষেত্রগুলো কি?


১। সরকারী বিভিন্ন বিভাগ-বিদ্যুৎ উন্নয়ন অধিদপ্তরপল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডজনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরগণপূর্ত বিভাগদূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরপরিবেশ অধিদপ্তরআবহাওয়া অধিদপ্তর প্রভৃতিতে কম্পিউটার প্রকৌশলী হিসেবে।
২। বিভিন্ন ফার্মে Software Engineer & Programmer, IT Professional.
৩। Network Administration, System Analyst.
৪। Web Mastering & Developing Company
৫। Graphics Designer.
৬। Film Industry তে Simulation & Animation ডিরেক্টর।
৭। সামরিক বাহিনী কম্পিউটার প্রকৌশলী হিসেবে।
৮। সকল আধুনিক শিল্পকারখানায় প্রসেস কন্ট্রোলিং এ।
৯। Microsoft, Google, Yahoo, Facebook, Intel এর মত জায়ান্ট কোম্পানিগুলোতে।
১০। Nasa, সার্নের মত বিভিন্ন বিখ্যাত গবেষনা ইন্সটিটিউটে।
এছাড়া সরকারী  প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা তো আছেই।

#অ্যাপ_গেমস_ডেভলপিংঃ

CSE স্টুডেন্টদের একটা স্পেশালিটি হচ্ছে তুমি অন্যের বানানো গেম কিংবা অ্যাপের নিজের মন মত ডেভলপিং থেকে শুরু করে নিজের প্রয়োজনমত অ্যাপগেমওয়েব বানিয়ে ফেলতে পারো।

#রোবোটিক্সঃ

সোফিয়া রোবট নিয়ে অনেক বিতর্ক চলছে তাই নাশুধু সোফিয়াই নয় বর্তমানে রোবটের ব্যবহার যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে মানুষের রোবটের প্রতি নির্ভরশীলতা। প্রতিযোগিতামূলক  যুগে প্রোগ্রামিং শিখে তুমি বানিয়ে ফেলতে পারো তোমার শখের রোবটটি। তুমি বানিজ্যিকভাবে রোবটিক্স প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করে নিজেকে অনেক বড় একটি প্লাটফর্মে দাড় করাতে পারো। তোমার প্রোগ্রামিং কোয়ালিটির জন্য তুমি গুগলমাইক্রোসফটে জব পেয়ে যেতে পারো।

#স্কলারশীপঃ

তোমার যদি প্যাশন থাকে CSE পড়ার তবে তোমার জন্য একটা Good-News হলো অন্যান্য স্কলারশীপ নিয়ে বিদেশে পড়াশুনা করার সুযোগ CSE তে অনেক বেশি। Massachusetts Institute of Technology (MIT), Harvard University, The University of Melbourne, University of California at Berkeley (UCB) বিশ্ববিদ্যালয়গুলো CSE এর স্টুডেন্ট দের স্কলারশীপ দিয়ে থাকে।


Comments