Islamic University of Technology (IUT) |
আসসালামু আলাইকুম! আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে যেটি মুসলীমদের শিক্ষার প্রসার করার জন্য স্থাপিত হয়েছিল। হ্যা, আজকে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি "ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি" সংক্ষেপে যাকে "আইইউটি" বলা হয়। তাহলে শুরু করা যাক-
১.অবস্থানঃ আইইউটি ঢাকা বিভাগের গাজীপুর জেলার বোর্ড বাজার এলাকায় অবস্থিত। সেখানে মাত্র ৩০একর জমির উপরে গড়ে উঠেছে আইইউটি।
২. কার্যক্রমঃ ১৯৮১ সালের ২৭শে মার্চ আইইউটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। মূলত ওঅাইসি অধিভুক্ত দেশগুলির (৫৭টি দেশ) এর ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার প্রসার করার জন্য ১৯৭৮ এর এক সম্মেলনে এটি স্থাপিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১৯৯৪ এর আগে পর্যন্ত এর নাম ছিল ICTVTR যা ১৯৯৪ এর পরে নামকরণ করা হয় আইইউটি হিসেবে। বিশেষ কথা হচ্ছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পুর্ন OIC নিয়ন্ত্রিত এবং এর আচার্য OIC এর মহাসচিব।
৩. ক্যাম্পাসঃ এর ক্যাম্পাস ৩০একর জমি জুড়ে। যেখানে আপনি খুজে পাবেন, ক্যাফেটেরিয়া, মসজিদ, ১৩০০বর্গমিঃ জায়গাজুড়ে গ্রন্থাগার, ২টি হল, স্টুডেন্সটস সেন্টার, শিক্ষা ভবন, মিলনায়তন, কম্পিউটার সেন্টার আর খেলাধুলা তো আছেই। বিস্তারিত সম্পূর্ণ পড়লেই জানিতে পারবেন।
৪. বিষয়সমূহ ও আসনসংখ্যাঃ আইইউটিতে ৫টি ডিপার্টমেন্ট এর আন্ডারে ৭টি প্রোগ্রাম অফার করা হয়। যেগুলি যেগুলি প্রোগ্রাম অফার করে-
BSc Engineering & BBA---
Department
|
Programme
|
Seats
|
MPE
|
Mechanical Engineering (ME)
|
50
|
Industrial & Production Engineering (IPE)
|
50
| |
EEE
|
Electrical & Electronic Engineering (EEE)
|
150
|
CSE
|
Computer Science & Engineering (CSE)
|
100
|
Software Engineering (SE)
|
50
| |
CEE
|
Civil Engineering (CE)
|
100
|
BTM
|
BBA in Technology Management (BTM)
|
50
|
Total=
|
550
|
Technical Education-
Department
|
Programmes
|
Duration
|
Seats
|
TVE
|
Diploma in Technical Education (DTE)
|
1Year
|
10
|
Bachelor of Science in Technical Education (BScTE)
|
2 Years
|
40
| |
1 Year
| |||
Total
|
50
|
৫. ভর্তি কার্যক্রমঃ প্রথমেই বলি, শুধুমাত্র যারা মুসলমান তারাই এখানে আবেদন করতে পারবে।
- আবেদনের যোগ্যতাঃ
→ এসএসসিতে জিপিএ ৫.০০ এর মধ্যে আপনাকে নূন্যতম জিপিএ ৪.৫০ পেতে হবে।
→ এইচএসসিতে জিপিএ ৫.০০ এর মধ্যে আপনাকে নূন্যতম জিপিএ ৪.৫০ পেতে হবে। এখানে সেকেন্ড টাইমাররাও পরীক্ষা দিতে পারে।
→ নূন্যতম জিপিএ ১০.০০ এর মধ্যে ৯.০০ পেতে হবে।
→যদি O Level পড়ে থাকেন তাহলে, Mathematics, Physics, Chemistry তে নূন্যতম "বি" এবং English এ নূন্যতম গ্রেড "সি" পেতে হবে।
→যদি A Level পড়েন তবে Mathematics, Physics, Chemistry তে নূন্যতম গ্রেড "বি" পেতে হবে।
→উল্লেখ্য, ট্রান্সক্রিপ্টে যদি শুধু মার্কস থাকে তবে তাকে গ্রেডে রুপান্তর করবে যেভাবে-
নম্বর গ্রেড জিপিএ
৮০-১০০ এ/এ+ ৫.০০
৭০-৭৯ বি ৪.০০
৬০-৬৯ সি ৩.০০
আর যদি মার্ক্স ও গ্রেড দুইটিই ট্রান্সক্রিপ্টে থাকে তবে গ্রেড বিবেচনা করবে। সেকেন্ড টাইম এলাউড।
টেকনিকালঃ
Diploma in Technical Education (1Year)
-পার্থীদের ৩বছরের ডিপ্লোমা ও ১৩বছরের শিক্ষাজীবন থাকতে হবে।
Bachelor of Science in Technical Education
2 Years-
প্রার্থীদের DTE থাকতে হবে।
1 Year-
প্রার্থীদের উচ্চতর ডিপ্লোমা থাকতে হবে।
- অনলাইনে আবেদনঃ যদি উপরের উল্লিখিত যোগ্যতা থেকে থাকে তবে আপনি আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার কাছে টেলিটক সিম থাকতে হবে। এবং প্রথমেই বলে রাখি আইইউটিতে আবেদন ফি ১২০০/- টাকা। এবার আশা যাক আবেদনে- পুরোটা প্রক্রিয়া আপনাকে করতে হবে এসএমএসের মাধ্যমে। যেভাবে আবেদন করবেন-
১ম মেসেজঃ
IUT <space> ১ম তিন অক্ষর এইচএসসি বোর্ডের <space> এইচএসসির রোল নম্বর <space> এইচএসসি পাশের বছর <space> এসএসসি বোর্ডের ১ম তিন অক্ষর <space> এসএসসির রোল নম্বর <space> এসএসসি পাশের বছর। এরপর এই মেসেজ টি পাঠিয়ে দিবেন 16222 নম্বরে।
IUT <space> First 3 letters of HSC Education board <space> HSC Examination Roll Number <space> HSC passing year <space> First 3 letters of SSC education board <space> SSC Examination Roll Number <space> SSC passing year then send to 16222
নমুনাঃ IUT DHA 123456 2019 DHA 234567 2017
যদি মেসেজটি ঠিকভাবে পাঠান তবে, আপনার সকল তথ্য সম্বলিত ও একটি পিনসহ ফিরতি মেসেজ পাঠাবে।
২য় মেসেজঃ
IUT <space> YES <space> PIN <space> Personal Mobile Number এরপর পাঠিয়ে দিবেন 16222 নম্বরে।
নমুনাঃ IUT YES 87654321 01XXXXXXXXX
এই মেসেজ সঠিকভাবে গেলে আপনার থেকে ১২০০/- টাকা কেটে রাখা হবে ও পাসওয়ার্ড দেয়া হবে।
- পরীক্ষার্থী বাছাইঃ যতগুলি আবেদন পড়বে তার ভেতর এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফল মিলিয়ে টপ চার হাজার জনকে পরীক্ষায় বসতে দেয়া হবে ও এডমিট কার্ড প্রদান করা হবে। আবেদন শেষ হবার কিছুদিনের মধ্যেই সিলেকশন হবে।
ভর্তি আবেদনকারীদের মধ্য থেকে এইচএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার জন্য বরাদ্দকৃত ১০০ নম্বরের ( Selected subjects GPA of HSC * 12 + Selected subjects GPA of SSC * 8) ভিত্তিতে ২০০০ জনের সংক্ষিপ্ত একটি merit list প্রকাশ করা হয়। Merit list এর জন্য মনোনীতরাই শুধুমাত্র ভর্তি পরীক্ষায় অংশ পারবে।
#Note:- একটা অপ্রিয় সত্য কথা বলি। যদিও বলা হয়েছে যাদের (বাংলা মিডিয়াম) ssc & hsc তে ৪.৫ আছে তারা apply করতে পারবে। কিন্তু গতবারের হিসেবে যাদের SSC এবং HSC দুটোতেই অবশ্যই কমপক্ষে এ+ ছিলো তারাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছে (সম্ভবত ৯৮ পয়েন্ট) তাদের সংখ্যা প্রায় মোট ২৫০০ জন যাদের থেকে মোট খুব বেশি হলে ২২০-২৩০ পড়ার সুযোগ পেয়েছে। তার মানে প্রায় ১১ জনে ১ জন। তাহলে competition খুব বেশি হবে
- এডমিট কার্ড প্রিন্টঃ যদি সিলেকটেড হয়ে থাকেন তবে আপনাকে Download Admit Card এই লিংকে গিয়ে লগইন করতে হবে। এরপর সেখানে গিয়ে আপনার এক কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি (১০০কেবির মধ্যে) আপলোড করে এডমিট কার্ড নামাতে হবে।
- পরীক্ষাঃ প্রথমেই বলে রাখা ভালো IUT তে পরীক্ষার প্রশ্ন পুরোটা ইংরেজিতে হয়। এবার আসা যাক বিস্তারিতঃ
পরীক্ষার ধরনঃ এমসিকিউ
পরীক্ষার ভাষাঃ ইংরেজী
পরীক্ষার সময়ঃ ২ঘন্টা (সকাল ১০.৩০ থেকে ১২.৩০)
সিলেবাসঃ
১. গণিত→ ৩৫টি এমসিকিউ
২. পদার্থবিজ্ঞান→ ৩৫টি এমসিকিউ
৩. রসায়ন→ ১৫টি এমসিকিউ
৪. ইংরেজি→ ১৫টি এমসিকিউ
মোটঃ ১০০নম্বর
আর, জিপিএ এর ক্ষেত্রে, এসএসসির জিপিএ*৮+এইচএসসির জিপিএ*১২ এর ভিত্তিতে ১০০নম্বর দেয়া হয়।
প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ থাকে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ মার্ক কাটা যাবে। সময় ২ ঘন্টা।
এই ২০০ মার্কসের উপর ভিত্তি করে আইইউটিতে ভর্তির জন্য মনোনীতদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
Allowed Calculators list |
- মেরিট প্রকাশ ও ভর্তিঃ IUT এর ফলাফল মূলত পরীক্ষার পরদিন বিকেলেই প্রকাশ করে। মেরিট প্রকাশের পরে কয়েকদিনের ভেতর আপনাকে সাবজেক্ট চয়েজ ফর্ম জমা দিতে হবে। এরপর আপনাকে সাবেজক্টে টিকে থাকলে আবার নিদিষ্ট দিনে IUT তে গিয়ে যাবতীয় ডকুমেন্টস, ছবি ও অন্যান্য সকল Admission রিলেটেড কাগজপত্র নিয়ে দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করে ভর্তি হতে হবে। যদি সময়মত ভর্তি না হয়ে থাকেন তবে আপনার সিট ফাকা হবে এবং পরে ওয়েটিং লিস্ট থেকে ছাত্র-ছাত্রীকে ডাকা হবে।
৬. পড়াশোনার খরচঃ নিচের চার্টের টাকা অনুযায়ী আপনাকে প্রতিবছরান্তে টাকা জমা দিতে হবে। তাই ভর্তি হবার আগে কিংবা ভর্তি পরীক্ষা দেবার আগে একবার হলেও এটি ভেবে যাবেন এখানে পড়ার সামর্থ্য হবে কিনা!
ফি
|
১ম বছর
|
২য় বছর
|
৩য় বছর
|
৪র্থ বছর
|
মোট
| |
ভর্তি ফি
|
1,69,047.44 TK
|
-
|
-
|
-
|
1,69,047.44
TK
| |
টিউশন ফি
|
2,11,309.30 TK
|
2,11,309.30 TK
|
2,11,309.30 TK
|
2,11,309.30 TK
|
8,45,237.20 TK
| |
থাকার ব্যবস্থা ও খাদ্য ফি (শুধুমাত্র যারা হলে থাকবে)
|
1,26,785.58 TK
|
1,26,785.58 TK
|
1,26,785.58 TK
|
1,26,785.58 TK
|
5,07,142.32 TK
| |
অন্যান্য
|
42,261.86 TK
|
42,261.86 TK
|
42,261.86 TK
|
42,261.86 TK
|
1,69,047.44 TK
| |
মোট
|
হলে থাকলে
|
5,49,404.18 TK
|
3,80,356.74 TK
|
3,80,356.74 TK
|
3,80,356.74 TK
|
16,90,474.40 TK
|
হলে না থাকলে
|
4,22,618.60 TK
|
2,53,571.16 TK
|
2,53,571.16 TK
|
2,53,571.16 TK
|
11,83,332.08 TK
|
এখন বলে রাখা ভালো, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হওয়ায় এখানের টাকার পরিমাণটা ইউএস ডলারে গণনা করা হয়। তাই যখন ইউএস ডলারের টাকার মান কমে বা বাড়বে তখ৷ এর দামও কমবে বা বাড়বে।
তাই ভর্তি হবার আগে অবশ্যই আপনার কাছে যেন ১৭-১৮লক্ষ টাকা থাকে। কারণ উপরের খরচ শুধুমাত্র আপনাকে ভার্সিটিকে পে করতে হবে। কিন্তু এর বাইরেও আপনার আরো অনেক খরচ হতে পারে। তাছাড়া টাকার মান এর ব্যাপারটিও আছে। তাই যদি হলে থেকে পড়তে চান তবে আপনাকে "১৬ লক্ষ ৯০হাজার ৪৭৪টাকা" (প্রায়) দিয়ে ৪বছরের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিবিএ কোর্স করতে হবে। হলে না থাকলে খরচ হবে "১১লক্ষ ৮৩হাজার ৩৩২টাকা (প্রায়)".
৭. স্কলারশিপঃ যদিও IUT তে পড়ালেখার খরচ তুলনামূলকভাবে দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশি তবুও যদি এখানে স্কলারশিপ পান তাহলে খরচ কিন্তু অর্ধেকেও নেমে আসতে পারে। বিস্তারিত-
এখানে দুই ধরণের স্কলারশিপ প্রদান করা হয়।
১. Full OIC Scholarship
২. Partial OIC Scholarship
প্রথমটি যেটি " Full OIC Schoolership" সেটি শুধুমাত্র বিদেশিদের জন্য যারা এখানে পড়তে আসবে। আর ২য়টি যেটি আছে সেটি IUT তে যারা এডমিশন টেস্ট দিবে অর্থাৎ দেশিয় যারা আছে তাদের জন্য। তবে তার জন্য আছে শর্ত-
শর্তাবলীঃ
১. আপনাকে IUT Admission Test এ প্রথম ৪জনের একজন হতে হবে। প্রোগ্রাম ওয়াইজ স্কলারশিপ ও প্রদান করা হবে।
২. আপনাকে IUT এর পরবর্তী পরীক্ষাগুলিতে সিজিপিএ ৩.৭৫ বা তার বেশি পেতে হবে। নাহলে আপনাকে অন্যদের মত পুরো টাকা দিয়ে পড়তে হবে।
আরো ডিটেইলসঃ
* আগে স্কলারশিপ প্রাপ্তদের(রেসিডেনশিয়াল সুবিধা সহ) চার বছরের জন্য মোট ৬৫০০ ডলার দিতে হত। এখনো তা আছে। তবে কেউ যদি হলে থাকতে না চায় তাহলে তাকে ৫০০০ ডলার দিতে হবে চার বছরের জন্য।
* আগে সেলফে ভর্তিকৃতদের নিকট থেকে (রেসিডেনশিয়াল সুবিধা সহ) চার বছরের জন্য মোট ১৭০০০ ডলার নেওয়া হত। তবে এখন এ জন্য ২০০০০ ডলার নেওয়া হবে। তবে কেউ যদি রেসিডেনশিয়াল সুবিধা না চায় সেক্ষেত্রে তাকে ১৪০০০ ডলার দিতে হবে।
* প্রয়োজন বুঝে ছাত্র/ছাত্রীদের রেসিডেনশিয়াল সুবিধা দেওয়া হবে। (আসন খালি থাকা সাপেক্ষে)
* মোট ভর্তি ছাত্রের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। আগে বছরে বাংলাদেশী ২২০ জন নেওয়া হত। এদের মধ্যে ১১০ জনকে স্কলারশিপ দেওয়া হত। এবার স্কলারশিপের সংখ্যা ১১০ থাকলেও বছরে মোট ৪৫০ বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রী নেওয়া হবে।
৮. হল ব্যবস্থাঃ হল সুবিধা শুধু তারাই পাবে যারা ১. স্কলারশিপ প্রাপ্ত ২. নিজ খরচে থাকবে
বর্তমানে IUT তে দুইটি হল আছে। ১টির নাম উত্তর হল আরেকটির নাম দক্ষিণ হল। মেয়েদের হলটি বাড়ানো হচ্ছে এটির কাজ শেষ হলেই চালু করে দেয় হবে। একটি হলে যা যা থাকার তার সবই আছে এখানে। আর এখানে প্রতি হলে প্রায় ১৫০টি কক্ষ আছে। প্রতি কক্ষে ৪জন করে থাকতে পারে।
৯. ক্যাফেটেরিয়াঃ আইউটির ২টি ক্যাফেটেরিয়া আছে (কেন্দ্রিয় ও উত্তর) যেখানে ছাত্ররা সকালে নাস্তা ও দুইবেলা খাবার খেতে পারে। এই ক্যাফে থেকে যারা হলে থাকে তাদের প্রতিমাসে ৪২২৬টাকা তথা ৫০ডলার মূল্যমানের খাদ্য পরিবেশন করে থাকে একদম ফ্রিতে। তবে যদি আপনি হলে না থাকেন তবে আপনাকে খাবারের টাকা বহন করতে হবে।
১০. হাত খরচঃ শুনতে কেমন লাগলেও এটাই সত্যি! আইউটি থেকে প্রতি মাসে ছাত্র-ছাত্রীদের 45$ (৪৫ ডলার) হাত খরচের জন্য দেয়া হয়ে থাকে যা বাংলাদেশি মূল্যে ৩,৮০৩.৫৭/- টাকা।
১১. প্রশ্ন উত্তরঃ
প্রশ্ন ১) আইইউটিতে আসন সংখ্যা কত?
উত্তরঃ আসন সংখ্যা কত, তা আসলে সঠিকভাবে বলা কঠিন। প্রতি বছরেই আসন সংখ্যা বিগত বছর থেকে কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পায়। সে ক্ষেত্রে এবারের আসন সংখ্যার বিন্যাস এরকমটি হতে পারেঃ
>Regular Scheme: (for Bangladeshi Students)
CSE: 20
EEE: 40
ME: 20
(Total: 80)
.
>Self-Financed Scheme:
ME: 10
IPE: 50
EEE: 70
CSE: 60
SE: 50
CE: 100
BTM: 50
(Total: 390)
.
>>>Total seats- 235
.
প্রশ্ন ২) REGULAR SCHEME এবং SELF FINANCING SCHEME কি?
উত্তরঃ সাধারণত দুটি ক্যাটাগরীতে IUT তে ছাত্র ভর্তি করা হয়ঃ
>ক্যাটাগরী-১: MERIT List এর প্রথম দিকে থাকা (১ থেকে ৮০ জন প্রায়) ছাত্রদেরকে এককালীন 6,500 USD (আনুমানিক ৫,৪৯,৪০৪ টাকা) পরিশোধ করতে হয়। বাকী চার বছর আর কোন টাকা নেয়া হয় না। এটি হচ্ছে REGULAR SCHEME.
.
>ক্যাটাগরী-২: Merit List এর শেষের দিকে অবস্থান করা ছাত্ররা চাইলে নিজ খরচে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে তাদেরকে মোট 4 কিস্তিতে 20,000 USD (আনুমানিক ১৬,৯০,৪৭৪ টাকা) দিতে হয়। ভর্তি হবার সময় 6500 USD, বাকী ৩ বছরের প্রত্যেক বছর 4500 USD করে দিতে হয়। এটি হচ্ছে SELF FINANCING SCHEME.
.
প্রশ্ন ৩) Admission Test এর গুরুত্ব কতটুকু?
উত্তরঃ বিগত কয়েক বছর ধরে আইইউটিতে ভর্তির ক্ষেত্রে Admission Test বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কারন প্রতিবছর দেখা যায় যে, আইইউটিতে ভর্তির জন্য যারা আবেদন করে তাদের ৯০% এরও বেশী ছাত্রের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ ৫ । তাই ভর্তি প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে আনার জন্য আইইউটি কর্তৃপক্ষ Admission Test এর প্রচলন করেছেন।
.
প্রশ্ন ৪) Admission Test এর জন্য কি রকম Preparation নেয়া উচিৎ?
উত্তরঃ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আইইউটিতে আসন সংখ্যা অনেক কম। তাই এখানে ভর্তির জন্য পরীক্ষার্থীকে তার সেরাটা উজার করে দিতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন MCQ টাইপের হয়ে থাকে। সবগুলো প্রশ্ন ইংরেজীতে হয়ে থাকে। পরীক্ষার বিষয় এবং মানবন্টন এরকমঃ
Physics-35
Math-35
Chemistry-15
English-15
.
অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যেসব প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ, আইইউটির ভর্তি পরীক্ষার জন্যও সেসব প্রশ্ন সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেগুলো ভালোমতো ঝালিয়ে নিতে হবে। DU,BUET এর বিগত ভর্তি পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন ভালোমতো SOLVE করলে আইইউটির ভর্তি পরীক্ষার জন্য তা উপকারে দিবে। ইংরেজীতে ভালো করার জন্য Grammer portion এর ওপর জোর দিতে হবে। আর ইংরেজীতে প্রশ্ন হবে এটা ভেবে কেউ যেনো ঘাবড়ে না যাও কারণ আইইউটিতে যারা পরীক্ষা দেবে তাদের মাঝে অধিকাংশই বাংলা মিডিয়ামের ছাত্র।
.
প্রশ্ন ৫) আইইউটির বিগত ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ আমাদের এই ব্লগের পেজ সেকশনের "Books" এ গিয়ে IUT তে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন। [Not Available now]
.
প্রশ্ন ৬) MERIT POSITION কত হলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেশী?
উত্তরঃ ভর্তি পরীক্ষার পরপরই সাধারণত চূড়ান্ত মেরিট লিষ্ট প্রকাশ করা হয়। সেখানে প্রথম দিকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত ৬০০ (কিংবা তারচেয়েও বেশী) জনের একটি তালিকা দেয়া হয়। মেরিট পজিশনে নাম যত পেছনেই থাকুক না কেন, কখনোই হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না। কারণ অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় যে, মেরিট পজিশনে প্রথম দিকে থাকা সত্ত্বেও অনেকে আইইউটিতে ভর্তি না হয়ে অন্য কোথায় চলে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে মেরিট পজিশনে পেছনের দিকে থাকাদের ভর্তি সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই মেরিট পজিশনে পেছনের দিকে থাকাদের ভর্তি প্রক্রিয়ার শেষ পর্যন্ত না দেখে হাল ছেড়ে দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে হয় না।
.
প্রশ্ন ৭) কেন আইইউটিতে ভর্তি হবো?
উত্তরঃ ব্যাপারটা এমন নয় যে, আইইউটিতে ভর্তি হবার সাথে সাথেই UNIVERSITY OF SOUTH ASIA এর চটকদার বিজ্ঞাপনের মতো অল্প কয়েকদিনেই গাড়ি-বাড়ি হয়ে যাবে কিংবা সুখের সংসার হয়ে যাবে। আইইউটিতে আছে জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলার, জীবনকে নিয়ে ভাববার সকল উপকরণ। সোডিয়ামের আলোর নীচে রাতভর আড্ডা আর গান, রাত ২টা থেকে ৫টা অবধি সবাই মিলে মুভি দেখা আবার সকালবেলা ঠিকই রুটিন করে সবার একসাথে ক্লাসে যাওয়া, খেলাধুলা , বন্ধুত্ব এসব কিছুরই এক অসাধারণ সম্মিলন রয়েছে আইইউটিতে। তাই যারা আইইউটিতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক তাদের হতে হবে দৃঢ় চেতনার অধিকারী। আর কখনোই আশা হারানো যাবে না। নিজের ভেতর প্রবল স্পৃহা থাকলে কারো জন্যই আইইউটিতে ভর্তি অসম্ভব কিছু নয়।
.
আইইউটিতে আছে 24/7 ইলেক্ট্রিসিটি মানে সপ্তাহের ৭ দিন ও দিনের ২৪ ঘন্টাই কারেন্ট থাকে। নেই কোনো সেশনজট, নেই কোনো রাজনীতি। তাছাড়া আইইউটির প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে Monthly 45 USD করে pocket allowance দেয়া হয়।
১২ হেল্পলাইনঃ 1.IUT Official Website
2.Admission website of IUT
১২ হেল্পলাইনঃ 1.IUT Official Website
2.Admission website of IUT
Comments
Post a Comment